একটা বিশেষ কারনে ___নক্ষত্রপুন্জ থেকে অক্ষরিক অর্থে উন্নত প্রানী এসেছে পৃথিবীতে, মানুষের বেশে, একজন সৎ মানুষের সন্ধানে।
শী : কেমন আছো মি: হি? আমি সুদুর ____নক্ষত্রপুন্জ থেকে এখানে এসেছি,
আমাদের একজন সৎ মানুষের প্রয়োজন, তাকে নিয়ে যাবো আমাদের স্বপ্নের জগতে
যেখানে শুধুই আনন্দ আর আনন্দ, কোন কিছু্রই অভাব নেই সেখানে। আমরা সৃষ্টি
জগতের উৎপত্তির উৎস কি তা বের করার চেষ্টা করে যাচ্ছি....তোমাদের
মতই....তবে মনে হয় আমরা তা বের করার ক্ষেত্র খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।
এক্ষেত্রে আমাদের একজন ভাল মানুষের প্রয়োজন। ....কোন ভুল করা
চলবেনা...তাহলে সমস্যা হবে। কিন্তু যদি ভাল মানুষের বদলে খারপ মানুষ হয়
তাহলে আমাদের পরিক্ষা নিরিক্ষা সব বিফলে যাবে।
(হি এর মন ছিল ধান্দাবাজি আর কু-মতলবে ভরা। সে শী এর কথা বিশ্বাস করল বলে মনে হল না)
হি : ..আপনে ভালা লোকের কাছেই আইছেন...হে: হে: ...খোঁজার দরকার কি?
..ম্যাডাম, আপনের সামনে খাড়ানো আমিই সেই লোক যারে আপনে খুজতাছেন। ...
শী : যদি তোমার কোন আপত্তি না থাকে... জলদি চল আমার সাথে, ...ঐ যে দুরে যে
যান টা দেখছো..তাতে করেই তোমাকে নিয়ে যাব আমাদের দেশে। ... আমাকে তোমাদের
পৃথিবী থেকে আনুষাঙ্গিক আরো কিছু জিনিস নিয়ে যেতে হবে।
শী আর হি ঐ
বিশেষ জানে চড়ে আকাশে উড়াল দিল। ...হি চিন্তা করেও বের করতে পারলনা এই
বিশেষ জান টি কোন ধাতু দিয়ে বানানো। ...সে ভাবল যে ধাতু দিয়েই হোক পুরোটা
ভেংগে ভাঙ্গারীর দোকানে বেচতে পারলেও ভাল টাকা পাওয়া যাবে। ...সে একটা
সুযোগের অপেক্ষায় থাকলো এবং সুযোগটা এসেই গেল। ....যানটি একটা বিশেষ জায়গায়
থামলো। পাহাড়ি যায়গা, শুধু পাথর আর পাথর। শী যান থেকে নেমে কি যেন খুঁজতে
গেল। হি ভাবলো এইতো সময় দ্রুত যানটি নিয়ে নিজের যায়গায় ফিরে যেতে হবে,
ভাংগারি’র দোকানে ছেলেটাকে খবর দিতে হবে ...কত কি..। হি যান টাকে চালু
করলো...কিছু দুর যেতেই নিয়ন্ত্রন হারালো।....এক পরযায়ে যানটি ধ্বংস হয়ে
গেল। সকল ইচ্ছেগুলোকে সাথে করে হি ও ধ্বংস হয়ে গেল। ....শী ফিরে এসে তার
বিশেষ যান আর হি কে কোথাও খুজে পেলনা, ....শী যথারীতি আবারো হতাশ হল,
প্রত্যেকবার তার ঠিক কোন যায়গাতে ভুল হয় তা ভাবতে লাগল। ...ফিরে যেয়ে সে কি
জবাব দেবে তাও ভাবলো, কিন্তু কিছুই পেলনা। ...এই একটা কারনেই অনেক চেষ্টা
করা সত্বেও তাদের গবেষনাটা সফল হচ্ছেনা। ...শী অনেকবার চেষ্টা করেও একটা সৎ
লোক জোগাড় করতে পারেনি।
গরু নিয়ে বড়ি ফিরতে ফিরতে বকস এর আজ দেরি হয়ে গেল। সন্ধ্যা নেমে যাওয়াতে
চারিদিক অন্ধকার হয়ে গেল। ....তার অনেক দিনের ইচ্ছা পাশের বাড়ির শেফালিকে
বিয়ে করার, যদিও মাতাব্বরের পোলার ঝামেলার কারনে তা আর সম্ভব হচ্ছেনা।
...প্রতি রাতে সে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে “তারাখসা” দেখার জন্য। যদি একবার
দেখতে পারে, তার জীবন আর কিছুই লাগবে না, তার জীবনটাই ধন্য।
বকশের ইচ্ছে মনে হয় পুরন হলো আজ....সে দুর আকাশে আজ “তারাখসা” দেখলো....আর
সংগে সংগে তার মনের ইচ্ছেটা জপ করতে করতে বাড়ি ফিরল। ...(যদিও ওটা তারাখসা
ছিলনা...ওটা ছিল ঐ বিশেষ যান এবং হি এর ধ্বংস হওয়ার দৃশ্য) ...
পরদিন বকশ জানতে পারল মাতাব্বরের পোলারে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। তার নামে
অনেকগুলো চাঁদাবাজির মামলা ছিল। ...বকশের মনে খুশি আর ধরেনা। ...সে শেফালির
সাথে দেখা করল। ....কয়েকদিন পরেই তাদের বিয়ে হয়ে গেল।
>
>
>
>
পাদটিকা:
১। শী’রা কখনোই মিথ্যে বলতে বা মিথ্যে বলা ধরতে পারেনা।
২। শুধু মাত্র মনুষ প্রজাতিই মিথ্যে বলতে পারে আনায়েসে।
৩। প্রকৃতি কখনোই তার রহস্যময়তায় কোন ফাক রাখার চেষ্টা করেনা।
(শহীদুল ইসলাম মঞ্জু)
- Get link
- X
- Other Apps
Labels
গল্প
Labels:
গল্প
- Get link
- X
- Other Apps