‘ উত্তর ভূমিকা’ তখন জিয়াউর রহমানের রাজত্বকাল। অধ্যাপক আবুল ফজল তাঁর শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা। আবুল ফজল সাহেবের সঙ্গেআমার বিলক্ষণ পরিচয় ছিল এবং তিনি আমাকে খুবই স্নেহ করতেন। আমার গল্প, উপন্যাস এবং প্রবন্ধেরউপর তিন তিনটে প্রবন্ধ লিখেছেন। লেখক জীবনে আবুল ফজল সাহেবের কাছে আমি অনেকপরিমাণে ঋণী। তিনি আমার মত অনেক তরুণেরই প্রেরণার উৎস ছিলেন। তিনি ছিলেনমুক্তবুদ্ধির পূজারী এবং ঘোষিতভাবে নাস্তিক। যেহেতু ফজল সাহেব নাস্তিকতা প্রচারকরতেন, প্রতিক্রিয়াশীলধর্মান্ধ লোকেরা তাঁকে ভীষণ খারাপ চোখে দেখত এবং প্রায়ই তাঁকে গালাগাল করা হত। একদিন সকালবেলা আমি প্রাতঃভ্রমণ করতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়েছি। খুবঅবাক হয়ে লক্ষ করলাম, সকালবেলা আবুল ফজল সাহেব মোটাতাজাউঁচা-লম্বা ফর্সামতন এক ভদ্রলোকের সঙ্গে আমার বিপরীত দিক থেকে হেঁটে আসছেন। তাঁরমাথায় একটা গোল টুপি। আবুল ফজল সাহেবের মাথায় গোল টুপি দেখে আমি ভীষণ আশ্চর্য হয়েগেলাম। সালাম করে জিজ্ঞেস করলাম, স্যার, এত সকালে কোথায় যাচ্ছেন? তিনি জানালেন সিরাত মাহফিলে যোগ দেবেন বলে বেরিয়েছেন। তাঁর সঙ্গের মানুষটির পরিচয়ও আমি পরে জানতে পেরেছি। তিনিছিলেন জেনারেল জিয়াউ...
ভালবাসাতে, না পারবেন বাচতে না মরতে, তাই যুদ্ধই শ্রেয়।