Skip to main content

মগা ও অন্যান্য সমাচার

তখন খগেন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা সংগ্রাম চলতেছে, এই সংগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন আমাদের অতি পরিচিত মগা । বাংলার আকাশে সমাজতন্ত্রী নাস্তিকতার পূরোধা। স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি (সরকার/ পুলিশ) তার পূর্ন শক্তি দিয়ে এই স্বাধীনতা সঙ্গম থুক্কু সংগ্রামকে নস্যাত করতে ছিল ভীষন তৎপর। ডিম(ডিবি) পুলিশ আগে থেকেই মগার খোজে তার বাসায় হানা দেয় , তার ফুন এর কথা শোনার জন্য ধুনফুন করতে থাকে।
এমন এক মুহুর্তে :-<
ইনেস্পেক্টর : বুজলা এস আই , দিন দিন কাজ কর্ম করা কঠিন হইয়া যাইতাছে । আর ভাল্লাগেনা ।
এস আই : খেন স্যার খি হয়েছে , ঘতখাল তো টাখা টিখ মত দিয়েছি ।
ইনেস্পেক্টর : আরে রাখো মিয়া তোমার ট্যেকা !! তোমারে ট্যেকার কথা কে কইলো ?? জীবনে কি ট্যেকাই সব ।
এস আই : স্যার আফনি রেগে যাচ্ছেন স্যার । রাগ খরা হার্টের জন্য ভাল না ।
ইনেস্পেক্টর : হ্‌ , টিকই কইছো, আইজকাল আর আগের মতো যুইত পাই না । যা হোক বড় স্যারে খবর পাঠাইছে এক বগারে ধরতে হইবো।
এস আই : খি বললেন স্যার? বগার। সেটা আবার খি ?
ইনেস্পেক্টর : আমি নিজেও ভাল বুজিনাই , স্যাররে জিগাইলে আবার যে ঝারি দেয় , এর লাইগা আর জিগাই নাই। কম্পুটারে চুরিচামারি কিছু হইবো মনে হয়।
এস আই :সেখি স্যার , কম্পুটারে আজখাল চুরিচামারি খরা যাচ্ছে ! ! এতোদিন জানতাম ফুয়ারা খালি তিরি দেখে।
ইনেস্পেক্টর : হপ্‌ , তোমারে পুলিশে ডুকাইছে কোন শালায়, তোমার মতো বেকুবরে যে ডুকাইছে সেইয় আরেকটা বড় বেকুব। কার সামনে কি কইতে হয় তার কোন হুস গ্যান থাকে না । নাকি পাতা টানছো । দেখি, হাত দেখি । হাতের তালুর রঙ ও গন্ধ শুকে বললেন , নাকি ইঞ্চি খাওয়া ধরছো।
এস আই : (ছলছল নয়নে) স্যার আফনে আমার বড় ভাই এর সমান হয়ে , আমাখে এই ভাবে সন্দেহ খরলেন ? আমি মনে অনেখ দুঃখ ফেলাম স্যার।
ইনেস্পেক্টর : আরে ... তোমারে নিয়া তো আর পারা গেল না । মাঝে মাইধে আমিও তো ইস্টিক টানি , যাউকগা, কামের কথায় আসি । আমার শালার লগে কথা বইলা দেখি এই বগার জিনিটা কি । আর স্যার বলছে এমন ব্যাবস্থা করতে যাতে আগামী ৬ মাসের ভিতর বাইরে বারাইতে না পারে । ১৪ শিকের ভিত্তে বইয়া যাতে গান গাই “আমি বন্ধি কারাগারে, আছোগো মা বিপদে”। খাড়াও শালারে ফোন দেই

শালা : আরে দুলাভাই , কেমন আছেন। আইজ কত কামাইলেন।
ইনেস্পেক্টর : কামাল , তুমি বেশি বার বারছো এতো বেশি বারা ভালানা। তোমারে একটা বিশেষ কাজে ফোন দিছি ।
শালা : আরে মিয়া এতো ক্ষেপেন কেন । আচ্ছা কন কি কইবেন ।
ইনেস্পেক্টর : বগার কি ?
শালা : বগার !!!!
ইনেস্পেক্টর : হ্‌ । বগার । কম্পুটারে কি কি জানি করে, ঐ বগার ।
শালা : ও ... বুজচ্ছি, ব্লগার...। ব্লগার হইলো ইন্টারনেটে লেখালেখি করা অনেকটা আমি যেমন সংবাদ পত্রে লেখি এমন । কলাম লেখার মতো।
.
.
.
.

ইনেস্পেক্টর : ও, যা শালা আমি ভাবলাম চুরিচামারি টাইপের কিছু ।
শালা : কেন কি হইছে । আপনের আবার ব্লগার দরকার কে ? ট্যেকার কি টান পরছে ?
ইনেস্পেক্টর : আরে মিয়া তুমি তো দেখি পুলিশের তে বড় খচ্চর হইয়া গেছ । শুক্কুর শুক্কুর ৮ মাসে দেখি ভালই সাংবাদিক হইয়া গেছ।
শালা : আচ্ছা যান , আর ট্যেকা পয়শার কথা তুলুম না । কি কাহিনি কন ।
ইনেস্পেক্টর : এক বগাররে ধরতে হইবো । উপ্রেরতে অর্ডার আইছে । শালা : কন কি !! কেডা কারে ??
ইনেস্পেক্টর : কিন্তু যে কাহিনি কইলা তাতে তো পলিটিকাল ইশু হইয়া যাইতে পারে ।
ইনেস্পেক্টর :নাম অহন কয়ন যাইবো না , চাইলে লগে থাকতে পারো । আইজ রাইতে আপারেশন ।
শালা : আচ্ছা , আমি সারে নয়ের ভিত্রে আপনের থানাই থাকুম।

এস আই : স্যার সাংবাদিখ ধরলেতো স্যার করিমগঞ্জে ট্রান্সফার খরে দিবে ।
ইনেস্পেক্টর : (চোখ গরম করে) তোমার নাম আইজ থেইকা উল্লুক । ঠিক আছে । কউ ঠিক আছে।
এস আই : বুঝতে ফারি নাই স্যার।
ইনেস্পেক্টর : আরে মিয়া, সাংবাদিক ধরলে কে কয় ট্রানস্ফার হইবো ! এই সরকারের আমলে কিছু হইবো না। খালি সিস্টেমে ফালাইয়া দিতে পারলে হইলো । যাও তুমি গিয়া ফোর্স রেডি কর।

রাত ১১ টার দিকে
মগা তার বন্ধুর বাসার দিকে যাচ্ছে । গত সাত দিন ধরে বাসার বাইরে থাকতে থাকতে আর ভাল লাগে না । কিন্তু কোন উপায়ও নাই । পুলিশ নাকি বাসায় গিয়া ধমক দিয়া আসছে । কাজের বুয়া সময় ফোন দিয়া না জানাইলে , মগা একেবারে ভরা মজলিশে গিয়া উপস্থিত হইতো। কপাল ভাল ।
হঠাত করে গলির মাথার দাঁড়ানো মাইক্রোবাস থেকে ৪ জন লোক লাফ দিয়ে বাইরে বের হলো । মগার মনে মনে তকন “কাম সারছে”।
ইনেস্পেক্টর : অই তুই কেডা এতো রাইতে অন্ধকারে কি ?
এস আই : স্যার মনে খয় মালের খোজে ভাইরে আসছে । এই তোমার ফখেট দেখি ।
মগা : আমি...... আমি......... আমি...... আমি......
ইনেস্পেক্টর : শালারে একটা থাবরা দেও তো , শালায় খালি আমি আমি করতাছে ।
মগা : আমি...... আমি...... আমার ...... আমি ...... নাম
এস আই : (৮২.৩৫ সিক্কার এক থাবর দিয়া ) তোখে নাম জিগাসা খরছে , তুই খেন আমি আমি খরিস।
ইনেস্পেক্টর : (হাতে মগার মানিব্যাগ মোবাইল নিয়ে চেক করতেছে), অরে কি কেসে ফেলান যায় এস আই ? শুকনা ভিজা মামলা দিলেতো বেশি দিন আটকাইয়া রাখা যাবে না ।
মগা : আমি ... আমি ... আমি ...
এস আই : স্যার আনন্দ মামলা দিয়ে দেন। ৬ মাস থাখলে ফরে খবর হয়ে যাবে । দারান স্যার চেখ খরে দেখি ইস্ট্রং আছে খি না
মগা : আমি ... আমি ...... আমার...... আমার ......
এস আই : (চিতকার দিয়ে ) স্যার !!
ইনেস্পেক্টর : মোটা মোটি ভয় পেয়ে , পিস্তল বের করেন কি হইছে...... কি হইছে......
এস আই : (চিতকার করে ) স্যার এখে তো আনন্দ মামলায় দেয়া যাবে না স্যার ।
ইনেস্পেক্টর : কেন কি হইছে ।
এস আই : স্যার উনার বিছি নাই স্যার । উনি খাসি স্যার ।
মগা : আমি ... আমি ...... আমার...... আমার ......
ইনেস্পেক্টর : ও আমি ভাবলাম লগে মেশিন টেশিন আছে বুঝি । এখন কি করা যায় !!! আইচ্ছা খাড়াও , বড় স্যাররে ফুন দেই ।

একটু দূরে গিয়ে ,
ইনেস্পেক্টর : স্যার ! সেলামালাইকুম স্যার । আমি আইজুদ্দিন স্যার । শাহাবাগ থানা স্যার। মগা সাহেব কেতো ধরছি স্যার। কিন্তু সমস্যা হইছে স্যার । তার বিচি নাই স্যার।
বড় স্যার : বিচি নাই মানে সাথে কি অস্ত্র আছে নাকি ?
ইনেস্পেক্টর : না স্যার কোন অস্ত্র নাই স্যার । নিরিহ মানুষ স্যার । বিচি নাই মানে স্যার অন্ডোকোষ নাই স্যার।
বড় স্যার : হোয়াট ননসেন্স !! বিচি নাই মানে !!! খুজে দেখো , কানের লতির আসে পাশে , গলার আসে পাশে খুজে দেখো । ভয়ে ঐ দিকে চলে গিয়ে থাকতে পারে । বিচি থাকবে না মানে ।।
ইনেস্পেক্টর : স্যার , ভাল করে খুজে দেখছি স্যার । তার বিচি আসলেই নাই স্যার । ভয়ে খালি আমি আমি করতাছে স্যার ।
বড় স্যার : কি মুসকিলে পরা গেল । বিচি নাই কেন , বিচি না থাকলে তো কোন কেসেও ফালানো যাবে না
ইনেস্পেক্টর : স্যার আনন্দ মামলাইয় নিয়া যাই ???
বড় স্যার :না না । ঐ সব কেসের জন্য বিচি লাগবে । বিচি না থাকলে হবে না । এক কাজ করো (কিছুক্ষন চিন্তা করে) এক কাজ কর, তারে ডিবির অফিসে দিয়া আসো , আমি ফারাবির বলে দিচ্ছি , সেয় বাকি ব্যাবস্থা করবে ।

ঘটনাস্থলে এসে
ইনেস্পেক্টর : এস আই এরে নিয়া ডিবি অফিসে দিয়া আসতে হবে । গাড়ীতে উঠাও
এস আই : স্যার, মামলা খি বেসি সিরিয়াস স্যার।
ইনেস্পেক্টর : না বেশি না, বিচি না থাকনে রক্ষা পাইলো । থাকলে এতোক্ষনে ১৪ শিকের ভিত্রে থাকতো।
মগা : ইয়া মাবুদ। আমি..... আমি....... আমি...... আমি.......

Popular posts from this blog

প্রাগৈতিহাসিক - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

সমস্ত বর্ষাকালটা ভিখু ভয়ানক কষ্ট পাইয়াছে। আষাঢ় মাসের প্রথমে বসন্তপুরের বৈকুণ্ঠ সাহার গদিতে ডাকাতি করিতে গিয়া তাহাদের দলকে - দল ধরা পড়িয়া যায়। এগারজনের মধ্যে কেবল ভিখুই কাঁধে একটা বর্শার খোঁচা খাইয়া পলাইতে পারিয়াছিল। রাতারাতি দশ মাইল দূরের মাথা - ভাঙা পুলটার নিচে পেঁৗছিয়া অর্ধেকটা শরীর কাদায় ডুবাইয়া শরবনের মধ্যে দিনের বেলাটা লুকাইয়া ছিল। রাত্রে আরো ন ক্রোশ পথ হাঁটিয়া একেবারে পেহলাদ বাগ্দীর বাড়ি চিতলপুরে। পেহলাদ তাহাকে আশ্রয় দেয় নাই। কাঁধটা দেখাইয়া বলিয়াছিল , ' ঘাওখান সহজ লয় স্যাঙ্গাত। উটি পাকব। গা ফুলব। জানাজানি হইয়া গেলে আমি কনে যামু ? খুনটো যদি না করতিস _' ' তরেই খুন করতে মন লইতেছে পেহলাদ। ' ' এই জনমে লা , স্যাঙ্গাত। ' বন কাছেই ছিল , মাইল পাঁচেক উত্তরে। ভিখু অগত্যা বনেই আশ্রয় লইল। পেহলাদ নিজে বাঁশ কাটিয়া বনের একটা দুর্গম অংশে সিনজুরি গাছের নিবিড় ঝোপের মধ্যে তাহাকে একটা মাচা বাঁধিয়া দিল। তালপাতা দিয়া একটা ...

বর্তমান হিন্দু মুসলমান সমস্যা

১৯২৬ সালে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একটি ভাষন দেন যার নাম “বর্তমান হিন্দু মুসলমান সমস্যা” । এটি বাঙলা প্রাদেশিক সম্মেলনে প্রদান করেন। পরে তা হিন্দু সংঘ পত্রিকায় ছাপা হয় ১৯ শে আশ্বিন ১৯৩৩ সালে। জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক  এর ভাষায় ১৯৩০ সালের দিকে প্রকাশিত শরৎচন্দ্রের বর্তমান হিন্দু মুসলমান সমস্যা পর এত ( আহামদ ছফার বাঙালি মুসলমানের মন ) প্রভোক্যাটিভ রচনা বাংলা ভাষায় পড়ি নাই। কোন একটা কথা বহু লোকে মিলিয়া বহু আস্ফালন করিয়া বলিতে থাকিলেই কেবল বলার জোরেই তাহা সত্য হইয়া উঠে না । অথচ এই সম্মিলিত প্রবল কন্ঠস্বরের একটা শক্তি আছে । এবং মোহও কম নাই । চারিদিক গমগম করিতে থাকে – এবং এই বাস্পাচ্ছন্ন আকাশের নীচে দুই কানের মধ্যে নিরন্তর যাহা প্রবেশ করে , মানুষ অভিভূতের মতো তাহাকেই সত্য বলিয়া বিশ্বাস করিয়া বসে । propaganda বস্তুত এই-ই । বিগত মহাযুদ্ধের দিনে পরস্পরের গলা কাটিয়া বেড়ানই যে মানুষের একমাত্র ধর্ম ও কর্তব্য , এই অসত্যকে সত্য বলিয়া যে দুই পক্ষের লোকেই মানিয়া লইয়াছিল , সে ত কেবল অনেক কলম এবং অনেক গলার সমবেত চীৎকারের ফলেই । যে দুই- একজন প্রতিবাদ করিতে গিয়াছিল ,...

সিরাজুল আলম খান - ব্ল্যাক সোয়ান

মুক্তিযুদ্ধ চলা কালে ট্রেনিং সেন্টারে (ফোল্ডার হাতে) পরিচিতি :  সিরাজুল আলম খান, নোয়াখালীতে ১৯৪১ সালে জন্ম নেয়া এক জন ব্যাক্তি যে বাংলাদেশের জন্মের সাথে জড়িত অত্যান্ত নিবিড় ভাবে। অবিবাহিত একজন মানুষ যাকে বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে সম্মক অবহিতজনের কাছে পরিচিত রহস্যপুরুষ হিসাবে, এছাড়া রাজনৈতিক নেতাদের কাছে তিনি পরিচিত তাত্ত্বিক (theorist) হিসাবে। সিরাজুল আলম খান ভিন্ন ভিন্ন তিন মেয়াদে প্রায় ৭ বছর কারাভোগ করেন। সিরাজুল আলম খান মেধাবী ছাত্র হিসাবে শিক্ষায়তনে সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। সিরাজুল আলম খানের বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী অঙ্ক শাস্ত্রে হলেও দীর্ঘ জেল জীবনে তিনি দর্শন, সাহিত্য, শিল্পকলা, রাজনীতি-বিজ্ঞান, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সমাজ বিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান, সামরিক বিজ্ঞান, মহাকাশ বিজ্ঞান, সংগীত, খেলাধুলা সম্পর্কিত বিষয়ে ব্যাপক পড়াশোনা করেন। ফলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের উপর গড়ে উঠে তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য এবং দক্ষতা। সেই কারণে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক নিযুক্ত হন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন রাজ্যের অসকস বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৬-’৯৭ সনে। ...