Skip to main content

লক্ষণ রেখা তেলেপোকা ব্লকিং চক

আজকে এক জিনিস দেখে লক্ষন এর জন্য কিঞ্চিত খারাপ লাগলো  রামায়নের লক্ষন , রামের ছোট ভাই লক্ষন ...

যে দাগ কেটে সীতাকে সকল বালা মুসিবত থেকে বাচানোর জন্য রেখে গিয়েছিল , যে দাগে পা দিয়ে রাবণের পা পুরে গিয়েছিল । আজ সে দাগ দেয়ার চক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে । এ চকের দাগে রাবণ মরে না। তবে দোকানদার গ্যারান্টি দিল তেলেপোকা মরবে । না মরলে ২০ টাকা ফেরত পাবো। জয়তু
laxman Rekha”


আগে ঘটনা কই কি হইছিল রামায়নে ...
সীতাকে দেখে রাবর যখন প্রেমে আকুল যারে বলে লাভ এট ফাস্ট সাইট , মগার সীতা ফেন্ড লিস্ট পুরাই ফুল, ফুল মানে ফুল , লিস্টে গুইনা গুইনা ৪৯৯৯ রুপে রাম বিরাজমান । রাবন এর রিকু পাঠানি লাগবোই লাগবো। উপায় ... তখন মারীচকে আই মিন রাবনের এক ব্রোরে মায়ামৃগর রুপ ধারন কইরা সীতাকে প্রলুন্ধ করতে কইলো তাতে একটা ফ্রেন্ডও যদি কমে রাবন রিকু পাঠাইবো । মারীচ ব্রো শুরু কইরা দিল তার খেইল দেখানো । মায়ামৃগের সুন্দর রূপ দেইখা সীতা পয়লা এসএমএস দিল “ আর্যপুত্র , লক্ষণের সঙ্গে শীঘ্র এদিকে আসো”। পরে শুরু কইরা দিল টিপিক্যাল উইমেনের মত সোনার হরিন দাও সোনার হরিন দাও বলে স্টেটাস দেয়া । রাম আর টিকতে পারলো না ।

ছোট ভাইরে আর জটায়ুরে ডিফেন্সে রাইখা গেল মায়ামৃগ এমবুশ করতে মাগার ... এমবুশ আর হয় না, খালি মিস হয় তীর । এদিকে যাইতে যাইতে মনে করেন ইস্টিশন পার ... শেষে তীর গিয়া লাগলো  মারীচ ব্রো এর বুকে । রাবনে কে দেয়া কথা মত মারীচ শুরু করলো হায় সীতা হায় লক্ষন চিৎকার
এই রকম ফলস্‌ এলার্মে কি মাথা ঠিক থাকে !! মাঝখান দিয়া সীতা আর দিলো আজব এক স্টেটাস লক্ষনরে ট্যাগ কইরা কইলো “তুমি আর্যপুত্রের বন্ধু নামের শত্রু , আমাকে পাবার লোভে তুমি আর্য পুত্রের মৃত্যু কামনা করছো । ”
এর পর আর কথা চলে !! সীতারে ছাইর মানে নিজ দায়িত্বে আনফ্রেন্ড দিয়া , ব্লক মানে
কুটিরের চারপাশে দাগ কাইটা দিয়ে গেল রামকে হেল্প করতে
 এই ব্লকিংই লক্ষন রেখা । 

Popular posts from this blog

সিরাজুল আলম খান - ব্ল্যাক সোয়ান

মুক্তিযুদ্ধ চলা কালে ট্রেনিং সেন্টারে (ফোল্ডার হাতে) পরিচিতি :  সিরাজুল আলম খান, নোয়াখালীতে ১৯৪১ সালে জন্ম নেয়া এক জন ব্যাক্তি যে বাংলাদেশের জন্মের সাথে জড়িত অত্যান্ত নিবিড় ভাবে। অবিবাহিত একজন মানুষ যাকে বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে সম্মক অবহিতজনের কাছে পরিচিত রহস্যপুরুষ হিসাবে, এছাড়া রাজনৈতিক নেতাদের কাছে তিনি পরিচিত তাত্ত্বিক (theorist) হিসাবে। সিরাজুল আলম খান ভিন্ন ভিন্ন তিন মেয়াদে প্রায় ৭ বছর কারাভোগ করেন। সিরাজুল আলম খান মেধাবী ছাত্র হিসাবে শিক্ষায়তনে সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। সিরাজুল আলম খানের বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী অঙ্ক শাস্ত্রে হলেও দীর্ঘ জেল জীবনে তিনি দর্শন, সাহিত্য, শিল্পকলা, রাজনীতি-বিজ্ঞান, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সমাজ বিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান, সামরিক বিজ্ঞান, মহাকাশ বিজ্ঞান, সংগীত, খেলাধুলা সম্পর্কিত বিষয়ে ব্যাপক পড়াশোনা করেন। ফলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের উপর গড়ে উঠে তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য এবং দক্ষতা। সেই কারণে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক নিযুক্ত হন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন রাজ্যের অসকস বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৬-’৯৭ সনে। নি

প্রাগৈতিহাসিক - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

সমস্ত বর্ষাকালটা ভিখু ভয়ানক কষ্ট পাইয়াছে। আষাঢ় মাসের প্রথমে বসন্তপুরের বৈকুণ্ঠ সাহার গদিতে ডাকাতি করিতে গিয়া তাহাদের দলকে - দল ধরা পড়িয়া যায়। এগারজনের মধ্যে কেবল ভিখুই কাঁধে একটা বর্শার খোঁচা খাইয়া পলাইতে পারিয়াছিল। রাতারাতি দশ মাইল দূরের মাথা - ভাঙা পুলটার নিচে পেঁৗছিয়া অর্ধেকটা শরীর কাদায় ডুবাইয়া শরবনের মধ্যে দিনের বেলাটা লুকাইয়া ছিল। রাত্রে আরো ন ক্রোশ পথ হাঁটিয়া একেবারে পেহলাদ বাগ্দীর বাড়ি চিতলপুরে। পেহলাদ তাহাকে আশ্রয় দেয় নাই। কাঁধটা দেখাইয়া বলিয়াছিল , ' ঘাওখান সহজ লয় স্যাঙ্গাত। উটি পাকব। গা ফুলব। জানাজানি হইয়া গেলে আমি কনে যামু ? খুনটো যদি না করতিস _' ' তরেই খুন করতে মন লইতেছে পেহলাদ। ' ' এই জনমে লা , স্যাঙ্গাত। ' বন কাছেই ছিল , মাইল পাঁচেক উত্তরে। ভিখু অগত্যা বনেই আশ্রয় লইল। পেহলাদ নিজে বাঁশ কাটিয়া বনের একটা দুর্গম অংশে সিনজুরি গাছের নিবিড় ঝোপের মধ্যে তাহাকে একটা মাচা বাঁধিয়া দিল। তালপাতা দিয়া একটা

বর্তমান হিন্দু মুসলমান সমস্যা

১৯২৬ সালে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একটি ভাষন দেন যার নাম “বর্তমান হিন্দু মুসলমান সমস্যা” । এটি বাঙলা প্রাদেশিক সম্মেলনে প্রদান করেন। পরে তা হিন্দু সংঘ পত্রিকায় ছাপা হয় ১৯ শে আশ্বিন ১৯৩৩ সালে। জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক  এর ভাষায় ১৯৩০ সালের দিকে প্রকাশিত শরৎচন্দ্রের বর্তমান হিন্দু মুসলমান সমস্যা পর এত ( আহামদ ছফার বাঙালি মুসলমানের মন ) প্রভোক্যাটিভ রচনা বাংলা ভাষায় পড়ি নাই। কোন একটা কথা বহু লোকে মিলিয়া বহু আস্ফালন করিয়া বলিতে থাকিলেই কেবল বলার জোরেই তাহা সত্য হইয়া উঠে না । অথচ এই সম্মিলিত প্রবল কন্ঠস্বরের একটা শক্তি আছে । এবং মোহও কম নাই । চারিদিক গমগম করিতে থাকে – এবং এই বাস্পাচ্ছন্ন আকাশের নীচে দুই কানের মধ্যে নিরন্তর যাহা প্রবেশ করে , মানুষ অভিভূতের মতো তাহাকেই সত্য বলিয়া বিশ্বাস করিয়া বসে । propaganda বস্তুত এই-ই । বিগত মহাযুদ্ধের দিনে পরস্পরের গলা কাটিয়া বেড়ানই যে মানুষের একমাত্র ধর্ম ও কর্তব্য , এই অসত্যকে সত্য বলিয়া যে দুই পক্ষের লোকেই মানিয়া লইয়াছিল , সে ত কেবল অনেক কলম এবং অনেক গলার সমবেত চীৎকারের ফলেই । যে দুই- একজন প্রতিবাদ করিতে গিয়াছিল , আসল কথা