তখন সবে অক্ষর চিনতে শুরু করেছি। সে বয়েসের কল্পনার, উদ্ভাবনী শক্তির প্রখরতা অস্বাভাবিক । আমার ২ মামার আর আমার বয়েস কাছাকাছি হবার কারনে গ্রামে গেলে এক সাথে সারাদিন ঘুড়াঘুড়ি , ফুটবল, গোল্লাছুট এর দুধভাত হবার সম্মান পেতাম। বক এর ডিম দেখিয়ে বলতো, গুইসাপের ডিম। মামার একটা সার্ভিস ট্রলির চাকা ছিল যা কখনোই ৫ মিনিটের বেশি নিয়ে খেলতে পেতাম না , কারন সেটা ছিল রকেটের চাকা। আগের বর্ষার সময় গ্রামের উপর দিয়ে রকেট যাবার সময় মামা তার গুলতি দিয়ে রকেট এর ইঞ্জিন ‘ ভচকাইয়া দিছিল ’ । আমি গ্রামে যখন গিয়ে ছিলাম তখন মাত্র একটাই চাকা মামার কাছে আছে । ২টা তার বন্ধুদের দিয়ে দিয়েছে , আর ৩টা ট্রেডঅফ করে ৫ নাম্বার ডিয়ার ফুটবলের ব্লাডার নিয়েছে। রাতে এক সাথে ঘুমানোর ভুত কিভাবে মামাকে আর একটু হলেই কলিজা খেয়ে ফেলতো, কিভাবে মাছের বেশে দুপুরে পরীরা পুকুরের পাড়ের কাছে এসে বসে থাকে আর চান্স পেলে কিভাবে মানুষ মারে, কোন কোন গাছে ভুতেরা বাসা বানিয়েছে , কোন ডালে কার এপার্টমেন্ট ইত্যকার কথা বার্তায় রাত আটটা থেকে নয়টা সারে নয়টা পর্যন্ত চলার পর ঘুমের আগে বাইরে এসে হিসু করার মত সাহস থাকতো না ত্রি-মাস্কেটিয়ার...
ভালবাসাতে, না পারবেন বাচতে না মরতে, তাই যুদ্ধই শ্রেয়।